নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামদি আমদানিতে সরকারের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেগুলো আসতে ১৫ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ফের বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে।
মার্চে সংক্রমণ শুরুর দিকে দ্রুত করোনা শনাক্ত ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য অ্যান্টিজেন্ট ও অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করাতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। সে যাত্রায় কিটের অনুমোদন মেলেনি। এরপরও প্রায় দেড় মাস পার হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের বিজ্ঞানী দলের প্রধান ড. বিজন কুমার শীল জানান, তাদের কিট এখনও মূল্যায়নের অপেক্ষায়।
ওষুধ প্রশাসন প্রণয়ন করা যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) নীতিমালা অনুযায়ী মূল্যায়নের জন্য যে পরিবেশ সৃষ্টি দরকার বা জিনিসগুলো দরকার, সেগুলো আনার প্রক্রিয়ায় আমরা আছি। এনওসি পাওয়া গেছে। ওগুলো এনে তারপর শুরু হবে। বিএসএমএমইউতেই এবার কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, বিএসএমএমইউতে করা হবে। যেহেতু তারা আগে করেছে, বিষয়টা জানে, আমার মনে হয়, সেখানেই করাটা ভালো।
বিএসএমএমইউতে এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করাতে এক মাসের বেশি সময় লেগেছিল। এ বিষয়ে ড. বিজন কুমার বলেন, এবার অনেক দ্রুত করা সম্ভব হবে। কারণ এবার স্যাম্পল অনেক কম পরীক্ষা করা হবে। গতবার পরীক্ষা করা হয়েছিল ৫০০টি স্যাম্পল, এবার করা হবে ১২০টি। এবার অনেক কম সময় লাগতে পারে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. বিজন কুমার বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে, করোনা এখন ধীরে ধীরে উপশহর, গ্রামের দিকে ঢুকছে। ঢাকায় কিন্তু এখন কম। মানুষ যেহেতু ঈদের সময় বাড়ি গেছে, ভাইরাসটাও ধীরে ধীরে ওইদিকেই যাচ্ছে। এটার সম্ভাবনা বেশি। শীতের আগে করোনার ব্যাপক প্রভাব থেকেও মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করেন তিনি।